Posts

Image
  ডায়াবেটিস Diabetes mellitus হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যাতে পরম বা আপেক্ষিক ইনস্যুলিনের অভাবজনিত কারণে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। এই রোগে রক্ত থেকে গ্লুকোজ টিস্যুতে কম যায় ফলে রক্তে গ্লুকোজের আধিক্য দেখা দেয়। রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা যখন কিডনির গ্লুকোজ ধরে রাখার মাত্রার বেশি হয় তখন প্রস্রাবের সাথে গ্লুকোজ বের হতে থাকে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে মধুমেহ বলা হয় । # কারণঃ যদিও এ রোগের মূল কারণ অজ্ঞাত তবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে জেনেটিক কারণের সাথে পরিবেশগত কারণের একটা সংমিশ্রণের ফলেই এই রোগটি হয়ে থাকে। * যাদের পিতা মাতা বা পিতৃকুল বা মাতৃকুলে এই রোগ আছে তাদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি । * খারাপ খাদ্যাভাস। * খারাপ জীবনযাত্রা প্রণালী * গর্ভাবস্থা প্রভৃতি কারণে মূলত এটি বেশি হয়ে থাকে # লক্ষণঃ * বার বার অধিক পরিমানে প্রস্রাব করা। * অধিক পরিমাণে পিপাসা লাগা। * খাবারে বেশি আগ্রহ । * অসারতা , দেহ দূর্বল হয়ে যাওয়া। * মাংসপেশী শুকিয়ে যাওয়া। * দেহের ওজন কমে যাওয়া। * নানারকম জীবাণুর সংক্রমণ বেশি হওয়া । # ব্যাবস্থাপনাঃ ডায়াবেটিস নিরাময় যোগ্য রোগ নয়, এটি নিয়ন্ত্রণ যোগ্য একটি রোগ। তাই একবা...
Image
আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে ত্বকের ধরন ও যত্ন প্রকৃতি এবং ত্বক আমাদের প্রকৃতি অনুসারে, আমরা জন্মাতে পারি একটি নির্দিষ্ট ত্বকের প্রকারের সাথে, তবে সময়ের সাথে সাথে বাহ্যিক কারণ যেমন জলবায়ু, খাদ্য এবং জীবনধারা, বা পরিবেশ দূষণ এর প্রভাবের ফলে এটি পরিবর্তিত হতে পারে। ত্বকের যত্নের প্রোগ্রাম তৈরি করার সময় এগুলি বিবেচনায় নেওয়া দরকার। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে আমাদের ত্বক প্রধানত ৩ প্রকার- বায়ু প্রকৃতি, পিত্ত প্রকৃতি ও কফ প্রকৃতি। # বায়ু প্রকৃতির ত্বক শুষ্ক, পাতলা এবং স্পর্শে ঠান্ডা হতে থাকে। এটি শুষ্ক, আবহাওয়া দ্বারা প্রভাবিত হয়। যেহেতু এটা শুষ্ক এবং পাতলা তাই এটি বলিরেখা বা বয়সের ছাপ প্রবন হয়ে থাকে। # পিত্ত প্রকৃতির ত্বক স্পর্শে উষ্ণ এবং লালচে হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখায়। এই ধরনের ত্বকে প্রদাহ, ছুলি, আচিল, তিল প্রভৃতি বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও এ ধরনের ত্বকে দাগ, ফোঁড়া এবং ব্রণ হবার প্রবণতা বেশি থাকে। সূর্যের প্রতি সংবেদনশীল হতে এবং সহজেই পুড়ে যেতে দেখা যায়। # কফ প্রকৃতির ত্বকে জল এবং মাটির সমস্ত গুণ থাকে; এটা শীতল এবং স্যাঁতসেঁতে, ঘন, শক্তিশালী এবং বাত...

কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) :

Image
সাধারণত সপ্তাহে ৩ বারের কম মল ত্যাগ হলে আমরা তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলব। তবে মলত্যাগের সংখ্যা যতবারই হোক না কেন মল যদি শক্ত হয় এবং মলদ্বার দিয়ে বের হতে কষ্ট হয় তাহলেও তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বিবন্ধ বলা হয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এই সমস্যার খুবই কার্যকরী সমাধান রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম হল- * কোন শারীরিক পরিশ্রম না করে বসে থাকা কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ করা। * তরল খাবার ও শাক সবজি কম খাওয়া। * মানসিক যন্ত্রণা , দুশ্চিন্তা, শোক, দু:খ ইত্যাদি। * বার্ধক্যজনিত বা স্নায়বিক কারনে পেরিষ্টালসিস কমে যাওয়া। * অল্প খাবার গ্রহণ করা। * বিভিন্ন ধরনের রোগে ভোগা। * গুরুপাক খাবার বেশি খাওয়া। * বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন যেমন- ক্যালসিয়াম , আয়রণ প্রভৃতি * গর্ভধারণ জনিত কারনে । * মল বেগ ধারণ জনিত কারন । প্রভৃতি কারনে সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রতিকার নির্ভর করে তার কারনের উপর তবে এখানে সাধারণ কিছু নিয়ম তুলে ধরা হল যা প্রায় সব ধরনের কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্যঃ * রোজ নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত সকাল বেলায় মলত্যাগের অভ্যাস করতে হবে এমনকি...

চুল পড়া সমস্যার আয়ুর্বেদিক সমাধান

Image
চুল পড়া খুব সাধারণ একটি সমস্যা যা শুধু সৌন্দর্যের উপরেই প্রভাব ফেলে না পাশা-পাশি আবেগ, মানসিক অবস্থা ও সামাজিক অবস্থা্র উপরেও যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। আমরা সবাই চাই আমাদের সুন্দর চুল গুলো স্থায়ী হোক।কিন্তু সবার ক্ষেত্রে সেটা হয় না।আজ আমরা আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে এই সমস্যার সমাধান খুজতে চেষ্টা করবো। আমরা জানি স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিদিন আমাদের প্রায় ১০০ টি চুল পড়তে পারে, যাদের এর চাইতে বেশি পড়ছে এবং নতুন চুল গজানোর প্রক্রিয়াটি কোন কারনে বিঘ্নিত হচ্ছে তারাই মূলত সমস্যায় পড়ছেন।মহিলাদের ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে আর পুরুষদের ক্ষেত্রে টাক পড়ে যাচ্ছে। অস্বাভাবিক চুল পড়ার কারণ সমূহ: • পিত্তাধিক্য • বংশগত • কোন অসুখের কারনে • কোন ঔষধের কারনে • অতিরিক্ত দু:শ্চিন্তা • পুষ্টির অভাব • অপরিষ্কার তালু • হরমোনের অস্বাভাবিকতা • অতিরিক্ত শক্ত করে চুল বাধা প্রভৃতি চুল পড়া কমাতে খাদ্যাভাস : যে সকল খাবার উপকারী – • দুধ • ডিম • সোয়াবিন • পনির • মাখন • ঘোল • ঘী • দানা জাতীয় খাবার • বাদাম • দই • মৌসুমি শাক সবজি ও ফলমূল • পর্যাপ্ত পরিমান পানি প্রভৃতি। যে সকল খাবার ক্ষতিকর- • ভাজা পোড়া খাবার • টক জাতীয় খাব...

চা( Camellia sinensis)

Image
চা এর সাথে আমরা সবাই পরিচিত। এটি আমাদের অনেকের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একটি দিন চা ছাড়া পার করা অনেকের কাছে প্রায় অসম্ভব। কিন্তু চায়ের উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা কয়জন জানি? চা এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সমূহঃ * চায়ে রয়েছে পলিফেনল যার রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট । এন্টিঅক্সিডেন্ট দীর্ঘমেয়াদী রোগের ঝুঁকি কমায় * চায়ে রয়েছে ফ্ল্যাভনয়েডস যা হৃদ-স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী । * গবেষনায় দেখা গেছে চা এলডিএল এর মাত্রা কমায়। * পলিফেনলস ও এন্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্টের কারনে চা ডায়জেষ্টিভ সিস্টেম ও ইমিউন সিষ্টেমকে উন্নত করে। * গবেষণায় দেখা গেছে চা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। * চা রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। * গবেষনায় দেখা গেছে চায়ে বিদ্যমান পলিফেনলস ক্যানসার সেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। * চায়ে বিদ্যমান ক্যাফেইন ও এল-থিয়ানাইন আমাদের ব্রেনের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। * গবেষণায় দেখা গেছে বয়ষ্করা যারা নিয়মিত চা পান করেন তাদের হাড় বেশি মজবুত হয় যারা চা পান করেন না তাদের চাইতে। # চা এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি সমূহঃ * খুব বেশি পরিমাণে চা পান আমাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। দিনে ৫ কাপের অধি...